শুরু হচ্ছে নোয়াখালীর শুদ্ধি অভি’যান

নোয়াখালী শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরও নোয়াখালীতে দুই পক্ষের বি’রো’ধ মে’টেনি। বরং এখন এই নোয়াখালীর বাকযু”দ্ধ স’হিং’স রূপ নিয়েছে। গত দুই দিনেও নোয়াখালীতে স’হিং’সতা ঘ’টেছে। আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ‘স’হিং”সতায় ওসিসহ আ”হত’ হয়েছে ২৫ জনেরও বেশি। এটি আওয়ামী লীগকে শুধু বি’ব্রত করছে না, সারাদেশে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড ন”ষ্ট করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীর এই ঘ’টনায় অত্যন্ত ক্ষু’ব্ধ হয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকাও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি নোয়াখালীতে শুদ্ধি অভি’যান শুরু করতে যাচ্ছেন। অপারেশন নোয়াখালী শুরু হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই শুদ্ধি অভি’যানে বড় ধরণের অ্যাকশনে যেতে পারে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড, এমন আভাস পাওয়া গেছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগের বর্তমানে যে জেলা কমিটি, সেই জেলা কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারেন বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই কাদের মির্জা। এছাড়াও দলের এই সমস্যা সৃষ্টিতে এবং স’হিং’সতায় যারা জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বি’রু’দ্ধে শা’স্তিমূ’লক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে নোয়াখালীতে বি’রো’ধ মীমাংসার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসোডিয়াম সদস্যকে তিনি বলেছিলেন যে, উভয় পক্ষকে স্থির অবস্থায় থাকার জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা বেসামাল আ’চ’রণ করছে।

এটি শুধু নোয়াখালীর জন্য নয়, জাতীয় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতিকর। আর একারণেই নোয়াখালীতে শুদ্ধি অভি’যান শুরু হতে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।